সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রোগ্রামিং ভাষা



                                    প্রোগ্রামিং ভাষা


একজন মানুষ তার কার্য সম্পাদন ও মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ভাষা ব্যবহার করে। যে মানুষ যে ভাষা জানে তার সাথে সেই ভাষায় কথা বলতে হয় । কিন্তু বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কম্পিউটার একটি মাত্র ভাষা বোঝেআর তা হচ্ছে মেশিন ভাষা।

মেশিন ভাষা কি ?
০ এবং ১ এ দুটি অংকের সমন্বয়ে মেশিন ভাষার উদ্ভব। সহজ কথায় ০ এবং ১ কে ব্যবহার করে নির্দেশ সাজিয়ে প্রোগ্রাম লেখার পদ্ধতিকে মেশিন ভাষার প্রোগ্রাম বলে। মেশিন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামের অপর নাম অবজেক্ট প্রোগ্রাম। মানুষের জন্য মেশিন ভাষা কঠিন তাই মানুষের ভাষার কাছাকাছি ভাষা (যেমন সি,সি++) যা অনুবাদক প্রোগ্রামের মাধ্যমে তা মেশিন ভাষায় রুপান্তর করা যায়। কম্পিউটার বা যেকোনো ডিভাইস দিয়ে আপনার নিজের কিংবা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য কোন কাজ সম্পাদন করতে চাইলে প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে।

প্রোগ্রামিং ভাষা কি ?
কম্পিউটারের মাধ্যমে কোন প্রোগ্রাম রচনার জন্য ব্যবহৃত শব্দ,বর্ণ,অঙ্ক,চিহৃ প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত রীতি নীতিকে প্রোগ্রামিং ভাষা বলে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম রচনার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে। কম্পিউটারের বোধগম্য প্রোগ্রাম ভাষার নিদিষ্ট নিয়ম নীতি রয়েছে। আমাদের সমাজের মত প্রোগ্রামিং ভাষার স্তর বিন্যাস রয়েছে। তারমধ্যে উচ্চ স্তরের ভাষা সমুহ হচ্ছে সি,সি++, ভিজুয়াল বেসিক,জাভা,ওরাকল,ফরট্রান,পাইথন ইত্যাদি।

উচ্চতর ভাষা ব্যবহারের জন্য কম্পিউটারের অভ্যান্তরীন সংগঠন জানা দরকার হয় না। তাই ব্যবহারিক প্রোগ্রামে উচ্চতর ভাষা বর্তমানে সবথেকে বেশী ব্যবহার হয়।
উচ্চ স্তরের ভাষায় লিখিত সম্পূর্ণ প্রোগ্রামকে এক সাথে মেশিন ভাষায় রুপান্তর করে কম্পাইলার। 

কম্পাইলার কি ?
কম্পাইলার একটি অনুবাদ প্রোগ্রাম যা উচ্চ স্তরের ভাষায় লিখিত কোন প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রুপান্তর করে। কিন্তু প্রোগ্রামের কোথাও ভুল পেলে অনুবাদ কাজ সেখানে বন্ধ হয়ে যায়। ভুল সংশোধনের পর অনুবাদ কাজ সম্পাদিত হয়। প্রতিটি প্রোগ্রামিং ভাষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কম্পাইলার থাকে।


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বুদ্ধিমত্তা কি?

আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী হাওয়ার্ড গার্ডনার প্রদত্ত মানুষের বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণায় দেখা যায় যে, মানুষের কমপক্ষে আট ধরণের বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। এ বুদ্ধিমত্তার মাত্রাও সকলের সমান নয়। প্রত্যেকেই একাধিক বুদ্ধিমত্তা প্রবল। সাধারণত কেউ কোনটাতে প্রবল আবার অন্যটিতে দুর্বল। আচরণ ও কার্যকলাপের মাধ্যমে সহজেই পর্যবেক্ষণ করা যায়। তবে ভিন্ন ভিন্ন বুদ্ধিমত্তার লক্ষণগুলোও ভিন্ন ভিন্ন। বুদ্ধিমত্তা ৮ প্রকার যথাঃ মৌখিক ও ভাষাবৃত্তীয় বুদ্ধিমত্তা: যারা এ বুদ্ধিমত্তায় প্রবল তারা জটিল বিষয়ও সহজভাবে কথায় লিখে প্রকাশ করতে পারে। তাদের ভাষা থাকে প্রঞ্জল ও সাবলীল। তারা বই পড়া, কবিতা বা গল্প লেকা, আলোচনায় অংশগ্রহণ করা, কৌতুক বলা, সাহিত্য সৃষ্টি করা ইত্যাদি বেশি পছন্দ করে। তারা নতুন শব্দ লিখতে ভালবাসে। যৌক্তিক ও গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা: যারা এ বুদ্ধিমত্তায় প্রবল তারা সমস্যা সহজে বুঝতে পারে এবং যুক্তি প্রয়োগ করে তা সমাধান করতে চায়। তারা সংখ্যা ও গাণিতিক সংজ্ঞা ও ফর্মুলা সহজে আয়ত্ব করে। এরা যুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং বিশ্লেষণগত কাজ নিয়ে বেশি চিন্তা করে।

সহজেই কোডিং ছাড়া অ্যাপস তৈরী

সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের যোগাযোগ সহজ থেকে সহজতর করে দিচ্ছে স্মার্টফোন । স্মার্টফোন কি ? পারসোনাল ডিজিটাল অ্যসিস্টেন্ট ( পি ডি এ ) আর মোবাইল ফোনের সম্মিলিত রূপই হচ্ছে  স্মার্টফোন । সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে হাজারও রকমের স্মার্টফোন । একদিকে মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে ঘনিষ্ট হয়ে যাচ্ছে , অন্যদিকে প্রতিনিয়ত এর ব্যাবহারকারী দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । ব্যাবসা, বাণিজ্য, লেনদেন, লেখাপড়া ছাড়াও বহু কাজে ব্যবহার করা যায় স্মার্টফোন । আর স্মার্টফোনের প্রাণ হচ্ছে অ্যাপস ।   অ্যাপস কি ? অ্যাপস বা অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে বিশেষ ধরনের সফটঅয়্যার , যা শুধু স্মার্টফোন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় । যা গেম, ক্যালেন্ডার, মিউজিক প্লেয়ার থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে যে কোনো ধরনের হতে পারে । বর্তমানে বিশ্বে কোম্পানিগুলোর প্রচুর অ্যাপস রয়েছে যা প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে । ক্রমানয়ে নতুন নতুন চাহিদা বা ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে । আর স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর উপযোগী করার জন্য যে কোনো  ধরনের অ্যাপস তৈরি করাই মুলত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট ।     স্মার্টফোন, ট্যাবলেটের ম