সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আর্টিকেল লিখে আয় করুন ৩৫ হাজার টাকা

আপনার যদি ইংরেজীতে ভাল লেখার যোগ্যতা থাকে আর আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ বা অভিজ্ঞ হন, তাহলে অনায়াসে ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন। কিভাবে? পড়ুন-

সাইটের নাম – হোয়াট কালচার : সন্মানি – ২৫ থেকে ৫০০ ডলার

ইংল্যান্ডে বসে দুই বন্ধু মিলে প্রথমে “সিনেমায় স্থুলতা” বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাদের সাইটের জনপ্রিয়তা, সেই সাথে বাড়তে থাকে ব্লগের বিষয়ও, আর গুগল অ্যাডসেন্স থেকে পকেটে ঢুকতে থাকে কাড়ি কাড়ি টাকা। পরবর্তীতে তারা ব্লগটাকে একটা ম্যাগাজিনে রূপ দেন।
৫২৯০ অ্যালেক্সা র‌্যাংক নিয়ে সাইটি এখন বিশ্বব্যাপী অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হিসেবে অবস্থান করছে। এখন আর তারা নিজেরা তেমন একটা লিখেন না, অন্যদের থেকে লেখা সংগ্রহ করেন। আর বিনিময় হিসেবে মোটা অংকের সন্মানি প্রদান করেন।

তবে এই সন্মানি আপনি লেখার পর পরই পাবেন না। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এক মাস পর্যন্ত। এক মাস পর দেখা হবে আপনার লেখাটির পেইজ ভিউ কত? যদি পেজ ভিউ ১০০০ হাজার হয়, তাহলে আপনি পাবেন ৫০ পাউন্ড বা প্রায় ৫ হাজার টাকা। ২০০০ হাজার পেজ ভিউ হলে  ১০ হাজার টাকা। এভাবে  পেজ ভিউ যত বাড়তে থাকবে, আপনার সন্মানিও তত বাড়তে থাকবে। এ সাইটের একটা জনপ্রিয় আর্টিকেলের পেজ ভিউ হয় ৭ হাজার পর্যন্ত। আর এর লেখক তখন সন্মানি পান প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।
কি লিখবেন-
  • মুভি, টিভি, গেম, খেলা-ধূলা ইত্যাদি বিষয়।
  • নিউজ বেইজড্ আর্টিকেল কিংবা লিস্টিং বেইজড্ লেখা অগ্রাধিকার পাবে।
কিভাবে লিখবেন-
  • প্রকাশিত লেখার ধরণ দেখে নিন এখানে – হোয়াট কালচার
  • লেখার জন্য প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা কিংবা বিশেষ কোন কোয়ালিটির দরকার নেই। কিন্তু যা দরকার তা হচ্ছে- চমৎকার সৃষ্টিলীতা, বিস্তারিতভাবে লেখাটার গভীরে যাওয়ার জন্য অন্যরকম অর্ন্তদৃষ্টি, লেখা-লেখির প্রতি গভীর আবেগ আর সময়ের সঙ্গে আফডেট থাকা।
  • লিখতে হবে সম্পূর্ণ মৌলিক লেখা, কারো লেখা থেকে কপি পেস্ট করলে চলবে না।
  • লিস্টিং এর ক্ষেত্র লেখাটি হতে হবে কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের।
  • লেখা প্রকাশিত হলে আপনার নিজস্ব ফেসবুক ও টুইটার প্রোপাইলে লেখাটি শেয়ার করতে হবে।

সাইটের নাম – ক্র্যাকড্ : সন্মানি – ১০০ থেকে ২০০ ডলার

ক্র্যাকড্ মূলত একটি হিউমার সাইট। আপনি যদি একজন স্মার্ট, মজার এবং সৃষ্টিশীল মানুষ হন, তাহলে ক্র্যাকড্ আপনাকে আর্টিকেল লিখে নগদ ইনকামের সুযোগ দিচ্ছে।
লেখার জন্য কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজনীয় নেই আপনার। আপনি ভাল লিখতে পারলেই তারা আপনাকে সন্মানি দেবে।

কি লিখবেন-
  • আপনি যদি টিভি এবং মুভি দেখার পোকা হন এবং সে সম্পর্কে আপনি যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন, তাহলে লিখতে পারেন টিভি-সিনেমা নিয়ে।
  • আপনি গান শোনেন, গান-বাজনা এবং শিল্পীদের সম্পর্কে  ভাল খোঁজ-খবর রাখেন; লিখতে পারেন সেগুলো নিয়ে।
  • অথবা আপনি একজন ভাল গ্রাফিকস্ ডিজাইনার। ডিজাইনের উপর টিউটোরিয়াল লিখে ইনফোগ্রাফিকস্ এ প্রকাশ করে সাবমিট করতে পারেন।
  • আপনার সংগ্রহে যদি মজার মজার ভিডিও থাকে কিংবা না থাকলেও আপনি যদি ফানি ভিডিও তৈরী করে মজার একটি ডেসক্রিপশন লিখে সাবমিট করেন, তাতেও ক্র্যাকড্ আপনাকে একই সন্মানি প্রদান করবে। বোঝেনই তো, সাইটার নামই ক্র্যাকড্, মালিকও বোধ ক্র্যাকড্।
কিভাবে লিখবেন-
  • প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর “ক্লিক অন দ্যা রাইটারস্ ওয়ার্কশপ” বাটনে ক্লিক করুন যা আপনাকে ম্যাসেজ বোর্ড পেজ-এ নিয়ে যাবে যেখানে আপনার আর্টিকেল সাবমিট করতে হবে।
  • লেখার একটা পটভূমি ঠিক করুন, আইডিয়াটি লিখুন, সঙ্গে পাঁচটা সাব-টপিক উল্লেখ করুন। এরপর আপনার পুরো আর্টকেলটি দিয়ে দিন।
  • শুরুর দিকে আপনাকে প্রতি আর্টিকেলের জন্য ১০০ ডলার দেয়া হবে।
  • আপনার লেখা পাঁচটা আর্টিকেল ছাপা হওয়ার পর থেকে প্রতি আর্টিকেলের জন্য ২০০ ডলার করে দেয়া শুরু করবে।
  • আপনার আর্টিকেল যদি তাদের সাইটের র‌্যাংক আর ভিজিটরের দিক থেকে টপ টেন-এর ভেতরে উঠে আসতে পারে, তাহলে আপনাকে আরও ১০০ ডলার বোনাস দেয়া হবে।
  • আর প্রতি সপ্তায় তাদের যে “ফটোশপ প্রতিযোগীতা” হয়, তাতে যদি সবার আগে অংশ নিতে পারেন, তাহলে আপনাকে আরও একশ ডলার এক্সট্রা দেয়া হবে।

সাইটের নাম – স্ট্রং হুইসপার : সন্মানি – ৫০ থেকে ১৫০ ডলার

স্ট্রং হুইসপার এমন একটি সাইট যা পৃথিবীব্যাপি ধনী-গরীবের মাঝে সমতা তৈরির লক্ষে কাজ করছে। বিশেষত যারা গরীব, ধনীদের মত নানাবিধ সুবিধা থেকে বঞ্চিত যারা, তাদেরকে বড় হতে উৎসাহিত করা, জীবন-যাপনের কলা-কৌশল শেখানো এবং আয়ের পথ দেখানোই এ সাইটের মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষে আপনিও অংশ নিতে পারেন এবং এখানে একটা আর্টিকেল লিখেই আয় করতে পারেন ৫০ ডলার বা ৩৭৫০ টাকা থেকে ১১২৫০ টাকা।

যে কোন বিষয়ে আপনার মতামত অন্যদেরকে জানাতে কিংবা কোন বিষয়ে আপনার জ্ঞান পৃথবীব্যাপি ছড়িয়ে দিতে স্টং হুইসপার আপনাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। সুতরাং, এখানে লিখুন এবং সেই সাথে আয় করুন।
কি লিখবেন-
  • লিখতে পারেন ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে, দিতে পারেন ব্যবসায়িক পরামর্শ।
  • আপনি যদি সংস্কৃতি-প্রেমী হন, লিখতে পারেন সংস্কৃতি বিষয়ক লেখা।
  • লিখতে পারেন চাকরি ক্ষেত্রে সমস্যা, উত্তরেণর উপায়, চাকরিতে সফলতা পাওয়ার কৌশল কিংবা চাকরি করতে গিয়ে আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা যা অন্যদের জন্যে উপকারী হতে পারে।
  • আপনার যদি মুভি-মিউজিক কিংবা বিনোদনের যে কোন অঙ্গনের প্রতি আগ্রহ আর নলেজ থাকে, লিখতে পারেন বিনোদন নিয়ে। ধরা যাক, আপনি অনেক হরর মুভি দেখেছেন, সেগুলো নিয়ে লিখতে পারেন- ‌”সর্বকালের সেরা ১০টি হরর মুভি” শিরোনামে।
  • এছাড়াও লিখতে পারেন প্রকৃতি, অনলাইনে আয়, রাজনীতি, খেলা-ধূলা, এমনকি ভ্রমন বিষয়ে।
কিভাবে লিখবেন-
  • প্রথমে স্ট্রং হুইসপার সাইটের হোম পেজ-এ (http://strongwhispers.com/) গিয়ে দেখে নিন তারা সাধারণত কী ধরণের লেখা প্রকাশ করে থাকে।
  • এবার নিজে একটি বিষয় নির্ধারণ করুন, যে বিষয়ে আপনি ভাল জানেন।
  • আপনার নির্ধারিত বিষয়টি, মানে আপনি যে বিষয়ে লিখতে চাইছেন তা মেইল করে ওদের জানান। সেই সাথে আপনার বিষয়টির আউট লাইন জানাতে ভুল করবেন না।
  • মনে রাখবেন, আপনার পুরো লেখাটি মেইল করার দরকার নেই শুধুমাত্র শিরোনাম আর সারমর্ম লিখুন।
  • আপনার টপিক পছন্দ হলে ওরা আপনাকে মেইলের জবাব দিয়ে নিশ্চিত করবে এবং লেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে।
  • এরপর আপনাকে পুরো লেখাটি পাঠাতে হবে। রিভিউ বোর্ড থেকে ছাড় পেলে আপনার লেখাটি প্রকাশ করা হবে এবং আপনাকে উপরোল্লেখিত সন্মানি প্রদান করা হবে।


সুত্র: টেক ট্রেইনি

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বুদ্ধিমত্তা কি?

আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী হাওয়ার্ড গার্ডনার প্রদত্ত মানুষের বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণায় দেখা যায় যে, মানুষের কমপক্ষে আট ধরণের বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। এ বুদ্ধিমত্তার মাত্রাও সকলের সমান নয়। প্রত্যেকেই একাধিক বুদ্ধিমত্তা প্রবল। সাধারণত কেউ কোনটাতে প্রবল আবার অন্যটিতে দুর্বল। আচরণ ও কার্যকলাপের মাধ্যমে সহজেই পর্যবেক্ষণ করা যায়। তবে ভিন্ন ভিন্ন বুদ্ধিমত্তার লক্ষণগুলোও ভিন্ন ভিন্ন। বুদ্ধিমত্তা ৮ প্রকার যথাঃ মৌখিক ও ভাষাবৃত্তীয় বুদ্ধিমত্তা: যারা এ বুদ্ধিমত্তায় প্রবল তারা জটিল বিষয়ও সহজভাবে কথায় লিখে প্রকাশ করতে পারে। তাদের ভাষা থাকে প্রঞ্জল ও সাবলীল। তারা বই পড়া, কবিতা বা গল্প লেকা, আলোচনায় অংশগ্রহণ করা, কৌতুক বলা, সাহিত্য সৃষ্টি করা ইত্যাদি বেশি পছন্দ করে। তারা নতুন শব্দ লিখতে ভালবাসে। যৌক্তিক ও গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা: যারা এ বুদ্ধিমত্তায় প্রবল তারা সমস্যা সহজে বুঝতে পারে এবং যুক্তি প্রয়োগ করে তা সমাধান করতে চায়। তারা সংখ্যা ও গাণিতিক সংজ্ঞা ও ফর্মুলা সহজে আয়ত্ব করে। এরা যুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং বিশ্লেষণগত কাজ নিয়ে বেশি চিন্তা করে।

প্রোগ্রামিং ভাষা

                                      প্রোগ্রামিং ভাষা একজন মানুষ তার কার্য সম্পাদন ও মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ভাষা ব্যবহার করে। যে মানুষ যে ভাষা জানে তার সাথে সেই ভাষায় কথা বলতে হয় । কিন্তু বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কম্পিউটার একটি মাত্র ভাষা বোঝে ,  আর তা হচ্ছে মেশিন ভাষা। মেশিন ভাষা কি ? ০ এবং ১ এ দুটি অংকের সমন্বয়ে মেশিন ভাষার উদ্ভব। সহজ কথায় ০ এবং ১ কে ব্যবহার করে নির্দেশ সাজিয়ে প্রোগ্রাম লেখার পদ্ধতিকে মেশিন ভাষার প্রোগ্রাম বলে। মেশিন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামের অপর নাম অবজেক্ট প্রোগ্রাম। মানুষের জন্য মেশিন ভাষা কঠিন তাই মানুষের ভাষার কাছাকাছি ভাষা  ( যেমন সি , সি ++)  যা অনুবাদক প্রোগ্রামের মাধ্যমে তা মেশিন ভাষায় রুপান্তর করা যায়। কম্পিউটার বা যেকোনো ডিভাইস দিয়ে আপনার নিজের কিংবা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য কোন কাজ সম্পাদন করতে চাইলে প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে। প্রোগ্রামিং ভাষা কি ? কম্পিউটারের মাধ্যমে কোন প্রোগ্রাম রচনার জন্য ব্যবহৃত শব্দ , বর্ণ , অঙ্ক , চিহৃ প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত রীতি নীতিকে প্রোগ্রামিং ভাষা বলে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম রচনার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ

সহজেই কোডিং ছাড়া অ্যাপস তৈরী

সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের যোগাযোগ সহজ থেকে সহজতর করে দিচ্ছে স্মার্টফোন । স্মার্টফোন কি ? পারসোনাল ডিজিটাল অ্যসিস্টেন্ট ( পি ডি এ ) আর মোবাইল ফোনের সম্মিলিত রূপই হচ্ছে  স্মার্টফোন । সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে হাজারও রকমের স্মার্টফোন । একদিকে মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে ঘনিষ্ট হয়ে যাচ্ছে , অন্যদিকে প্রতিনিয়ত এর ব্যাবহারকারী দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । ব্যাবসা, বাণিজ্য, লেনদেন, লেখাপড়া ছাড়াও বহু কাজে ব্যবহার করা যায় স্মার্টফোন । আর স্মার্টফোনের প্রাণ হচ্ছে অ্যাপস ।   অ্যাপস কি ? অ্যাপস বা অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে বিশেষ ধরনের সফটঅয়্যার , যা শুধু স্মার্টফোন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় । যা গেম, ক্যালেন্ডার, মিউজিক প্লেয়ার থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে যে কোনো ধরনের হতে পারে । বর্তমানে বিশ্বে কোম্পানিগুলোর প্রচুর অ্যাপস রয়েছে যা প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে । ক্রমানয়ে নতুন নতুন চাহিদা বা ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে । আর স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর উপযোগী করার জন্য যে কোনো  ধরনের অ্যাপস তৈরি করাই মুলত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট ।     স্মার্টফোন, ট্যাবলেটের ম